আমার স্বামীর সাথে ঝামেলা চলছিলো তখন অনেক লোকে বলেছিলো যে স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে তাকে ছেড়ে দেও! এর চেয়ে ভালো ছেলে পাবে, কারণ তোমার তো চাকুরী আছে। আমিও ভেবে দেখেছিলাম তাই !!!
কিন্তু তা বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো, যত ভালোই জবই থাকুক না কেন!!!
দ্বিতীয় বার যখন কেউ বিয়ে করতে আসবে, হয় সে আপনাকে করুনা করবে, না হয় সমাজ -পরিবারের কথা চিন্তা করে আপনি রাজি হয়ে যেতে হবে দায়মুক্তির জন্য!!
ডিভোর্স পরবর্তীতে বিয়ে করা এক আপুর সাথে আলাপ হলে, সে বলল ভাই বিয়ের ৫/৬ মাস ভাল গেলেও এখন প্রতিনিয়ত খোটা দিচ্ছে যে আমি ভালো হইলে আমার কেন ডিভোর্স হলো!! আমি হচ্ছি খারাপ, নষ্ট,এবং বদ মেজাজী ইত্যাদি। কিন্তু এখন এই সব অপমান সহ্য করে সংসার করে যেতে হচ্ছে মুখ বুজে!!
আগের যে ফ্রীডম ছিল তা এখন আর নাই মনের দিক থেকে বড় হয়েএখন আর থাকতে পারিনা। সব সময় নিজেকে ছোট মনে হয়।।
দ্বিতীয় স্বামীর ছোয়ায় প্রথম স্বামীর অনুভূতিও সৃতি গুলো মনে পরার মত এত বাজে অভিজ্ঞতা কারো না হয়!!স্বামী-ও স্ত্রী সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি হলে তা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলুন । তৃতীয় কোন ব্যাক্তির পরামর্শ না নেওয়ার জন্য বলছি ।
আপত দৃষ্টিতে মনে করতে পারেন ডিভোর্স হলেই হয় বেঁচে যাবো, বাঁচবেন ঠিকই কিন্তু একা হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা আপনাকে তিলে তিলে শেষ করে দিবে।২য় স্বামীর সাথে কোথাও চলাফেরা করতে গেলে নিজের হীনমন্যতা আর মানুষের আলগা করুনায় আপনার জীবন তখন আরও অতিষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রথম মানুষটির মত সেই ভালোবাসা এবং সম্মান আর কোথাও পাবেন না।
আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি যে স্বামী - স্ত্রীর সর্ম্পকের ভুল বুঝাবুঝি
হলে তা নিজেদের মধ্যে সমাধান করুন আর আপনি শিক্ষিত/ব্যবসায়ী নারী । নিজের আপনি আত্মঅহংকারের কথা চিন্তা করে স্বামীর হুকুমের বাহিরে চলাচল করবেন এমন মানসিকতার পরিবর্তন করুন।
আপনি মনে রাখবেন আপনি নারী। আর সে পুরুষ , আল্লাহ পুরুষদের কে পরিবারের কর্তা বানিয়ে পাঠিয়েছেন
0 মন্তব্যসমূহ